শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
মেহেরপুর পৌর বিএনপির (উত্তর) নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জামায়াতের সাবেক আমিরের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির প্রার্থী মিন্টু মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের উদ্যোগে অসহায় পরিবারের মাঝে অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ টানা তৃতীয়বারের মতো জামায়াতের আমীর হিসেবে শপথ নিলেন ডা. শফিকুর রহমান মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হলেন মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা-গুলিবর্ষণ, আহত অর্ধশতাধিক সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া হাসিনা বললেন—সোনা আমার, শাওনের দাবি এআই এবার ভূমিকম্পে কাঁপলো ভারত প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির তিন মামলায় হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বাড়তি ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের

পাকিস্তানের জন্য প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ডের বৈঠকে ভোটদানে বিরত থাকল পাকিস্তানের চিরশত্রু ভারত। তাদের দাবি, এর আগে ঋণের টাকার সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘খারাপ ট্র্যাক রেকর্ড’ রয়েছে পাকিস্তানের।

শুক্রবার ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসেছিল আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড।

সেখানে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।

 

ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইএমএফের কাছ থেকে দীর্ঘ দিন ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে খারাপ নজির স্থাপন করেছে তারা। আইএমএফ প্রকল্পের শর্তও মানেনি।

ভারতের আরও অভিযোগ হলো, ঋণের টাকা অনেক ক্ষেত্রে সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। গত ২৮ বছর ধরে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেয়েছে তারা। ২০১৯ সাল থেকে চারটি আইএমএফ প্রকল্প হয়েছে। আগের প্রকল্পগুলোর ঋণের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে পাকিস্তান আরও একটা প্রকল্পের অধীনে ঋণ চাইত না।

সে কারণে তাদের ঋণের অর্থের সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

ভারত এ-ও জানিয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ে সে দেশের সেনা বেশি নাক গলায় বলেই বহু নীতি রূপায়ণ করা সম্ভব হয় না। সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও অর্থনৈতিক বিষয়ে নাক গলায় সেনা। আর সে কারণেই ঋণের শর্ত মানেনি পাকিস্তান।

 

কেন ভোটদানে বিরত থাকল ভারত?

আইএমএফের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটাভুটির ক্ষেত্রে বিরোধিতার কোনও সুযোগ নেই। অর্থাৎ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যায় না। হয় সমর্থন করতে হবে নয়তো ভোটদানে বিরত থাকতে হবে। পাকিস্তানকে ঋণ মঞ্জুর না করার সপক্ষে ভারতের জোরালো যুক্তি থাকলেও ভোটাভুটিতে বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই ভোটদানে বিরত থেকেই প্রতিবাদ প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটতে হয়েছে ভারতকে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved Meherpur Sangbad © 2025